অক্টোবর ১৮, ২০২৪

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের দিনসহ ঈদের আগের তিন দিন ও পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, পচনশীল পণ্য, ওষুধের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স থাকবে আওতামুক্ত।

আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বৈঠকে শেষে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী জানালেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবার। তবে ঈদের সাত দিন আগেই সকল সংস্কার ও মেরামতের কাজ শেষ করে আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ঈদযাত্রায় মনিটরিং জোরদার থাকলেও ফেরার সময় ঘাটতি থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চালকদের বাড়তি ট্রিপ দেবার মানসিকতায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে।

তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস ঠিক রাখতে হবে, লক্কড় ঝক্কর গাড়িতে রং দিয়ে লাভ নেই। ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে এই বিষয়ে পরিবহণ মালিকদের আহ্বান জানাই। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে সব সময় যানজট লেগে থাকে, জনস্বার্থে তা সমাধান করতে হবে। ঈদে পোশাক কারখানা ছুটি দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়, এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোট ২শ’ ১৭টি পশুর হাট রয়েছে মহাসড়কের ওপর। যানজটের স্পট হিসেবে, চিহ্নিত স্পট রয়েছে ১শ ৫৫টি। দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজ এবং নির্মাণ কাজও চলমান। সামনে কোরবানীর ঈদ। পশু পরিবহন ও ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা এখন বড় চিন্তার বিষয়।

ঈদের আগে অসময়ে উন্নয়নের নামে রাস্তা খোড়াখুড়ি নিয়ে সমালোচনা করেন। ঈদে চালকদের অস্তিরতায় দুর্ঘটনা বাড়ে। এসবের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার নির্দেশ সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর।

ঈদ যাত্রায় বাসের ভাড়া বাড়ানো যাবে না। প্রয়োজনে গার্মেন্স শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকদের বাড়ি ফেরায় বিআরটিসির বাস নামানোর নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল। মন্ত্রী-এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...