নভেম্বর ১৫, ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে রাজবাড়ী জেলা ও গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমন্বয় সভা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ ৩ এপ্রিল বুধবার বিকাল ৪টায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ দৌলতদিয়া ট্রাক টার্মিনালে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি যাত্রী সাধারণের কোনোরূপ হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্ন পারাপারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ঘাটনির্ভর ছোট ছোট ব্যবসায়ী, রিকশাচালক, অটোচালক প্রভৃতির প্রতি যাতে কেউ নির্দয় আচরণ না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হতে এ রুট দিয়ে ঢাকাসহ আশপাশ অঞ্চলের মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পেরে এরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় ঘাটে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

তবে ফেরিতে জুয়া খেলা ও ছিনতাই রোধে ফেরির প্রতিটি ট্রিপে পুলিশ পাহারার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবহন ঠেকানো এবং পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখারও দাবি জানানো হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঈদে ঘর মুখো মানুষে নির্বিঘ্নে পারাপার করতে ১৫টি ফেরি, ২০টি লঞ্চ এবং ১০টি স্পিডবোট চলাচল জন্য প্রস্তুত রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে যানজট নিরসনে ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন পশুবাহী ও জরুরি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকব্যতীত সাধারণ ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে এবং রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ঘাট প্রস্তুতসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সাকুরা পরিবহণের দৌলতদিয়া ঘাটের ম্যানেজার রাজু মোল্লাসহ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তবে ফেরিতে জুয়া খেলা ও ছিনতাই রোধে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।

দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদেরন অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীতেও থাকবে নৌ-পুলিশের টহল। লঞ্চে ও ফেরিতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নিতে দেওয়া হবে না। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি লঞ্চে পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখতে বলা হয়েছে। ফেরির মধ্যে জুয়া খেলা ও ছিনতাই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩টি ঘাট। আশা করছি নির্বিঘ্ন পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...