রমজান মাস শেষে শাওয়ালের প্রথম দিন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কবে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেই সিদ্ধান্ত দেবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ১০ এপ্রিল বুধবার। আর রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তবে রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। ঈদুল ফিতর উদযাপনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ৯ এপ্রিল সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত শাওয়াল মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ মান সময় রাত ১২টা ২১ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে, ওই দিন সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ০.৭৪৮০ দিন এবং সূর্যাস্তের ২২ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে। ওই দিনই রাত ৯টা ১ মিনিটে প্রতিপদ (প্রথমা) শেষ হয়ে দ্বিতীয়া শুরু হবে।
৯ এপ্রিল চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় ৬টা ৩৮ মিনিট থেকে ৭টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ১ দশমিক ৭৪৮৩ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধুলি শেষ হওয়ার ১ ঘন্টা ২৮ মিনিট ৬ সেকেন্ড পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন আবহাওয়াবিদ বলেন, ৯ এপ্রিল চাঁদের বয়স থাকবে এক দিনেরও কম। চাঁদ দিগন্তের সঙ্গে মাত্র ৯ ডিগ্রি কোণে উচ্চতায় থাকবে। আকাশে অবস্থানও করবে স্বল্প সময়ের জন্য। তাই খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা খুবই কম।
তিনি বলেন, এখন গ্রীষ্মকাল আকাশ মেঘমুক্ত পাওয়াও মুশকিল। ওইদিন যেটুকু চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম আকাশ পরিস্কার মেঘমুক্ত না থাকলে সেটাও কাজে আসবে না। ১০ এপ্রিল চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বেশি। সে অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে।
ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ৯ এপ্রিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে থাকা জেলা চাঁদ দেখা কমিটির কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার পর চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে থাকে। জেলা চাঁদ দেখা কমিটিতে সদস্য সচিব থাকেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জেলা কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত জাতীয় কমিটিকে ফোন করে জানিয়ে দেন। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী।