নভেম্বর ১৬, ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ন্যায় আগামী ঈদুল আযহার যাত্রাকেও স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ঈদযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হবে গরুর হাট, পশুবাহী ট্রাক ও বৃষ্টি। কাজেই ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আযহা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সে লক্ষ্যে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

বুধবার রাজধানীর সেতুভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের ঈদে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল, রাস্তা ছিল ভালো, পাসঅ্যাবল ও ইউজঅ্যাবল। যে কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজটের দুর্ভাবনা অতীতে যেটা ছিল এ পর্যন্ত সেটি হয়নি। বিশেষ করে বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানজটের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। অনেকটা যানজটমুক্ত ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। সামনের দিনে এ ধারাকে আরো ইতিবাচক করতে হবে। ভুলক্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল উদ্বোধন করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২০ এপ্রিল পদ্মাসেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬৬০কোটি টাকা। এরইমধ্যে প্রথম কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকা সরকারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে এবং আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ জমা দেয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বজনস্বীকৃত এবারের ঘরমুখো পদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে, কর্মস্থলে ফেরার যাত্রাও এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়ক। যানজট নিয়ে যে জটিলতা, দুর্ভাবনা এবার বলতে গেলে একেবারেই কম ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা নামক দুর্ভাবনা তেমন একটা কমেনি। এত সেতু, এত রাস্তা করা হলো তারপরও এখানে ইতিবাচক অগ্রগতি সেভাবে হচ্ছে না। আমরা হাল ছাড়ছি না। কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এটা অতিক্রম করা সম্ভব। ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...