ঈদুল আজহায় সড়কে ২৩৫ দুর্ঘটনায় ২৩০ জন নিহত এবং ৩০১ জন আহত হয়েছে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংস্থাটির বনানীর সদর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১১ থেকে ২৩ জুনকে ঈদযাত্রা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ১৩ দিনে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে এর ৫১টিতে তথা ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশে মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মোটরসাইকেল দুঘর্টনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগে ৬০ দুর্ঘটনায় ৫৮ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১ দূর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত এবং ১২০ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৭ দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছে।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী ২৬২ জন মারা গেছে ১৩ দিনে। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইসাথে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।
গত মাসে বিআরটিএর সভার পর জানানো হয়েছিল, ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না। চালকরা আন্দোলনে নামার পর প্রধানমন্ত্রী রিকশা চলাচলের অনুমোদন দেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেছেন, রিকশা মূল সড়কে চলতে পারবে না। জীবিকার প্রশ্নে সরকারপ্রধান অলিগলিতে রিকশা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা যানজট মুক্ত ছিল। তবে ঈদের আগের ছয়দিনে প্রতিদিন গড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছে। এতে সফলতা কিছুটা ম্লান হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিআরটিএ উল্লেখ করেছে— হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালনা, অতিরিক্ত ও বেপরোয়া গতিতে মোটরযান চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে মোটরযান চালানো, অসতর্ক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওভারটেকিং, পথচারীর অসাবধানতা এবং যত্রতত্র রাস্তা পারপার করা, যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, মহাসড়কে থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য অবৈধ বাহন চলাচল, মোটরযান চালকদের ট্রাফিক আইন যথাযথ অনুসরণ না ক
রা।