নভেম্বর ৮, ২০২৪

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গোলা ও বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৯ জন এবং লেবাননে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

ওয়াফার তথ্য অনুসারে, শুক্রবার রাতে গাজার খান ইউনিস শহর এবং আল নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা এবং রকেটে নিহত হন নয় জন। এই নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশু এবং একজন নারী রয়েছেন।

এদিকে একই দিন সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ লেবাননেও সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামলায় নিহত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন হিজবুল্লাহর যোদ্ধা, বাকি দু’জন বেসামরিক। এই দু’জনের মধ্যে একজন শিশু।

পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী লেবাননের নাজেম এবং আইতা গ্রামে বিমান অভিযান পরিচালনা করেছে আইডিএফ। এই অভিযানে ওই দু’টি গ্রামে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস এবং তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত ১০ মাসের অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৯০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর এক মাস পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে লেবাননের সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও নিয়মিত লেবাননে পাল্টা হামলা চালানো আরম্ভ করে। ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতে গত ৯ মাসে লেবাননে নিহত হয়েছেন ৬ শতাধিক মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সংখ্যা ৪ শ’র বেশি; বাকিরা সবাই বেসামরিক লোকজন।

 

সূত্র : রয়টার্স

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...