ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এসব জিম্মিকে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে তারা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের এখন মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের গ্রহণ করবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিরতির প্রথমদিন মুক্তি পাবেন ১৩ জন। চুক্তির শর্ত মেনে, ১৩ ইসরায়েলিকে ছেড়ে দিয়েছে এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। মুক্তি পাওয়া সবাই নারী ও শিশু।

টাইমস অব ইসরায়েলকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজার খান ইউনিস থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।

যেসব ইসরায়েলিকে আজ শুক্রবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারকে আগেই অবহিত করা হয়েছে। মুক্তি পাওয়াদের পরিবারের সদস্যরা এখন হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। হাসপাতাল থেকেই জিম্মিদের তাদের পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস। এছাড়া ওইদিন কয়েকশ ইসরায়েলিকে হত্যাও করে তারা।

মানবতার দিক বিবেচনা করে তাদের মধ্যে দুই ধাপে ৪ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এখন মুক্তি দেওয়া হলো আরও ১৩ জনকে। আগামী তিনদিনে হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পাবেন আরও ৩৭ ইসরায়েলি।

এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চারদিনে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৯ জনকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।

শুক্রবার শুধুমাত্র ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও; সবাইকে চমকে দিয়ে এদিন ১২ থাই নাগরিককেও ছেড়ে দিয়েছে হামাস।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, সেখানে থাই নাগরিকদের ছাড়ার বিষয়টি ছিল না। ফলে থাই নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার পর অনেকে বিষ্মিত হয়েছেন। মিসর জানিয়েছে, কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তারা থাই নাগরিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করেছে।

 

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...