ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

আবারও ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয় ক্ষমতায় আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়গুলোসহ দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান স্লোগানে ইশতেহার ঘোষণা করবে দলটি।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে-

১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।

৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৭. নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।

৮. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।

৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষিত ইশতেহারের নাম দেওয়া হয় ‘দিনবদলের সনদ’। যা ওই সময় তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতা আসে দলটি।

২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘নিরাপদ ব-দ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয় ইশতেহারে। সেখানে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

১৯৯০ সালের পর প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা নির্বাচনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...