আসন্ন ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। এমন সময় সাইফার, তোশাখানা ও শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বুশরা বিবিকে বিয়ের মামলায় মোট ৩১ বছরের কারাভোগ করছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে ইমরানকে দশ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং পিটিআইয়ের অন্যান্য নেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। দলটির নির্বাচনি প্রতীকও বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে তার দলের নেতারা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
পিটিআই মনে করে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই রাজনৈতিক ধস কাটিয়ে উঠতে পারবে তারা। যদিও তাদের বেশিরভাগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী নতুন ও আগে তারা নির্বাচনে অংশ নেননি।
সরকার পতনের পর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন প্রচারণা শুরু করেন ইমরান খান। তাকে প্রথমবার গ্রেফতারের পর গত মে মাসে তার সমর্থকেরা সেনাবাহিনীর এক কমান্ডারের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালান। পরে তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে প্রায় দুই শ মামলা রয়েছে।
ইমরানের দাবি, তাকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরাতেই এসব মামলা করা হয়েছে।
বর্তমানে ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান কারাগারে। নির্বাচন ঘিরে দমন–পীড়নে তার দল পিটিআইও বিপর্যস্ত। তবে পাকিস্তানের অতীত রেকর্ড বলছে, দেশটিতে অনেক রাজনীতিবিদ দীর্ঘ মেয়াদে সাজার রায় পাওয়ার পরও নিজেদের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসার পর দায়মুক্তি পেয়েছেন।
পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে ইমরান এখনো তুমুল জনপ্রিয়। তবে তার নেতৃত্ব ছাড়া পিটিআইয়ের ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই অনিশ্চিত। আগামী বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে নিজেদের ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীক না পাওয়ায় পিটিআইয়ের প্রার্থীদের স্বতন্ত্রভাবে লড়তে হচ্ছে। এ নির্বাচনে তারা কী ফল করেন, তা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে—আর কতটা সময় ইমরানকে কারাগারে থাকতে হবে।