নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ভিসার প্রত্যাশায় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর দীর্ঘদিনে কাঙ্খিত ভিসা না পেয়ে বাংলাদেশস্থ ইতালি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ইতালির ভিসা প্রত্যাশীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইতালির ভিসাতো দূরের কথা, দীর্ঘদিন পার হওয়ার পার হলেও ঢাকার ইতালি দূতাবাস ভিসা প্রত্যাশীদের পাসপোর্টই ফেরত দিচ্ছে না। এখন পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার দাবিতে ইতালি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কয়েকশো বাংলাদেশি ভিাসাপ্রার্থী গুলশানে ইতালি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়। তাদের হাতে ছিলো বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড। তারা এই সময়ে দ্রুততার সঙ্গে পাসপোর্ট ফেরত চান। তবে ইতালির ভিসা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল জানিয়েছে, ইতালির ওয়ার্ক ভিসার আবেদনকারীদের সোমবার থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আসা শুরু করবে। আগামী ২ মে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী ফাইল জমা নেওয়া শুরু হবে।
বিক্ষোভরত ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইতালি থেকে স্পন্সর ভিসা নিয়ে ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে তারা দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু দেড় থেকে দুই বছর পার হলেও পাসপোর্ট কিংবা ভিসা কোনোটাই পাননি তারা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েকজন জানান, তাদের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতেন। ইতালি যাওয়ার ইচ্ছায় তারা দেশে ফিরে দূতাবাসে ভিসার আবেদন করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তা না হওয়ায় তাদের অনেকেরই মধ্যপ্রাচ্যের ভিসার মেয়াদও শেষের পথে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা মধ্যপ্রাচ্যের চাকরি হারানোর শঙ্কার কথাও বলেন। তাই এখন ইতালির ভিসা না দেওয়া হলে পাসপোর্ট ফেরত চান তারা। ভুক্তভোগীরা আশা করছেন, ইতালি রাষ্ট্রদূত হস্তক্ষেপ করে দ্রুত তাদের পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে হয়রানি থেকে রেহাই দেবেন।
আবুল হোসেন নামে একজন ভিসা প্রত্যাশী বলেন, আমরা এদেশেও থাকতে পারছি না, অন্য দেশেও যেতে পারছি না। আমাদের সবার ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু দূতাবাস আমাদের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে। তারা যদি আমাদের ভিসা না দেয় তাহলে পাসপোর্টগুলো ফেরত দিক। তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ফিরে যেতে পারবো, বলেন তিনি।

আরেক ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, দূতাবাসে আমাদের পাসপোর্ট জমা আছে। আমরা ভিএফএক্স গ্লোবালে গেলে তারা বলে, এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আপনারা দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দূতাবাসে আমাদের ঢুকতে দেয় না, কথা বলারও কেউ নেই। আমরা আমাদের চাকরি হারাতে চাই না। তাই আমাদের ভিসা দেয়া না হলেও পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হোক, বলেন এই ভুক্তভোগী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশে ইতালি দূতাবাসের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার ইতালি। দেশটিতে প্রায় দেড় লাখের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন।

এদিকে ইতালির ভিসা প্রসেসকারী প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল বলছে, ইতালি ওয়ার্ক ভিসা আবেদনকারীদের ধৈর্য ধরে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময়ের জন্য তাদের ই-মেইল চেক করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটগুলো ধীরে ধীরে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে বরাদ্দ করা হবে৷ ৫ মাসেরও বেশি আগের নুল্লা ওস্তাসের ধারকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের বৈধ এবং যাচাই করা নুল্লা ওস্তার মেয়াদ শেষ হবে না, যদি সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী ছয় মাসের মেয়াদের মধ্যে ই-মেলটি পাঠান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...