ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪

মূলত রাশিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ। এ কারণে ইউক্রেনে ‘নিষ্ঠুর শক্তি’ যতদিন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন থাকবে, ততদিন এ যুদ্ধ চলবে। ফলে বছরের পর বছর বা কয়েক দশক স্থায়ী হতে পারে এই সংঘাত।

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ যুদ্ধে তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

পোস্টে মেদভেদেভ বলেন, ‘এই যুদ্ধ রাশিয়ার অস্তিত্বের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যদি আমরা তাদের ষড়যন্ত্র ও নিষ্ঠুর পরিকল্পনা ধ্বংস করতে না পারি, সেক্ষেত্রে পশ্চিম ঐক্যবদ্ধভাবে রাশিয়াকে টুকরো টুকরো করবে।’

‘পশ্চিমের এই ষড়যন্ত্রের একমাত্র উদ্দেশ্য আমাদের ধ্বংস করা এবং তাদের এই নিষ্ঠুর পরিকল্পনা আমরা সফল হতে দিতে পারি না। এ কারণে যতদিন পর্যন্ত ইউক্রেনের বর্তমান সরকার, যা মূলত সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক, ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এই লড়াই চলবে। এতে বছরের পর বছর, এমনকি দশকের পর দশকও চলে যেতে পারে।

কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে প্রতিশ্রুত সাংবিধানিক স্বীকৃতি না দেওয়া এবং উপদ্বীপটি ফের নিজেদের দখলে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্সের (ন্যাটো) সদস্য হওয়ার জন্য চেষ্টা-তদবিরের অভিযোগে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।

গত দেড় বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন হাজার হাজার রুশ এবং ইউক্রেনীয় সেনা। এর বাইরে বেসামরিক লোকজনও নিহত হয়েছেন হাজারের অধিক। গত বছর অক্টোবরে ইউক্রেনের দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন প্রদেশকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছে মস্কো।

শনিবারের পোস্টে মেদভেদেভ ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনের রাষ্ট্রব্যবস্থা অচল করে দিয়ে দেশটিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও তার জনগণের ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখতে যদি ইউক্রেনের রাষ্ট্রব্যবস্থা ধ্বংস করে সেটিকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তাহলে তা ই করতে হবে আমাদের।’

 

সূত্র : আরটি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...