বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ভারতকে খাদের কিনারা থেকে খানিকটা টেনে তুলেছেন আজিঙ্কা রাহানে ও শার্দুল ঠাকুর। তবুও হাতে ৬ উইকেট থাকা অস্ট্রেলিয়ার লিড ২৯৬ রানের। এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়ছে না ভারত। বরং ইংল্যান্ডকে দেখে আশায় বুক বাঁধছে তারা।
ট্রাভিস হেডের ১৬৩ এবং ১২১ রান করা স্টিভ স্মিথের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল। জবাব দিতে নেমে শুভমান গিল, কোহলি, রোহিত, চেতেশ্বর পূজারাদের ব্যর্থতায় শুরুতেই বিপাকে পড়ে ভারত। সেখান থেকে তাদেরকে এগিয়ে নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা, রাহানে ও শার্দুল। তবুও ২৯৬ রানে থামে ভারত, অস্ট্রেলিয়া লিড পায় ১৭৩ রানের। শেষ বিকেলে সেই লিড বাড়িয়েছেন স্মিথ, মার্নাশ ল্যাবুশেনরা। অজিদের হাতে এখনও ৬ উইকেট থাকায় চারশ বা তার চেয়ে বেশিও হতে পারে ভারতের লক্ষ্য। সেটাও তাড়া করার সম্ভাবনা দেখছেন শার্দুল।
তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে শার্দুল বলেন, ‘দেখুন ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। আপনি বলতে পারেন না এই ফাইনাল ম্যাচ কোন পুঁজিটা যথেষ্ট। যারা চাপ সামলাতে পারবে তারাই (জিতবে)। একটা ভালো জুটি হয়ে গেলে চাড়ে চারশো বা তার বেশি রান তাড়া হয়ে যেতে পারে।’
চতুর্থ ইনিংস কিংবা শেষ দিনে চারশ বা তার চেয়ে বেশি রান যে তাড়া করা সহজ নয় সেটা বেশ ভালোই জানা ভারতের। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ভারত চতুর্থ ইনিংসে এখন পর্যন্ত চারশ পেরিয়ে মোটে তিনবার। যেখানে সমান একটি করে জয়, হার এবং ড্র রয়েছে তাদের। এমন পরিসংখ্যানের দিকে না তাকিয়ে ইংল্যান্ডকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে ভারত। সবশেষ এক বছরে টেস্ট ক্রিকেটের ধারণাই যেন বদলে দিয়েছে তারা। ভিন্ন ঘরানার ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে সমর্থকদের রোমাঞ্চ এনে দিচ্ছে বেন স্টোকসের দল। দ্রুত রান তুলে ৩ উইকেটে ৩৭৮ রান করে গত বছর ভারতের বিপক্ষেই জিতেছিল ইংল্যান্ড।
এই বিষয়ে শার্দুল বলেন, ‘গত বছর ইংল্যান্ড চারশো রান তাড়া করল এবং খুব বেশি উইকেট হারায়নি। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। তারা যেমন পুঁজিই দিক না কেন এখনই অনুমান করা যাবে না কি হবে। আমরা দেখেছি টেস্ট ক্রিকেটে অনেক সময়ই খেলা বদল হয়ে যায়। আমরা কাল আশা নিয়েই মাঠে যাব।’