ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পরের মাসে তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেবেন।

বুধবার ভ্লাদিভোস্টকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে অংশ নেওয়া চীনা ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং-এর সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন এ আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ঐকমত্যের অংশ হিসেবে আমরা আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি প্রত্যাশা করছি।

ব্রিকস সম্মেলন মূলত উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। এর প্রাথমিক সদস্যদের মধ্যে রয়েছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর এটি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানসহ অন্যান্য বড় উদীয়মান অর্থনীতির দেশকেও অন্তর্ভুক্ত করে প্রসারিত হয়েছে।

ব্রিকস সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
ব্রিকস ফোরামটি উদীয়মান বাজার অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে। এর পরবর্তী সম্মেলন তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে অনুষ্ঠিত হবে এবং এ সম্মেলনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করতে পারে।

এদিকে পুতিনের এ ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক গভীরতর হচ্ছে। বিশেষ করে যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে উভয় দেশের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এতে শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ দুই নেতার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রিকস সম্মেলনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি এ আলোচনাগুলোকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। কারণ চীন বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ব্রিকস ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

এছাড়াও এ সম্মেলনে রাশিয়া-চীন সম্পর্কের উন্নয়ন এবং তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সহযোগিতার নতুন দিকগুলো আলোচনা হতে পারে। এটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর জন্য নতুন কৌশল তৈরি করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এর আগে, গত মাসে পুতিন চীনের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেছিলেন, তাদের মধ্যকার সম্পর্কগুলো ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনছে।

ক্রেমলিনে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংকে স্বাগত জানানোর সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

যাইহোক, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের বিষয়ে পুতিনের ওই ঘোষণা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে এবং এটি ব্রিকস ফোরামের গুরুত্ব ও ভবিষ্যত সম্ভাবনাগুলোকেও নতুনভাবে তুলে ধরেছে।

এখন দেখার বিষয়, এ সম্মেলনে চীনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্কগুলোতে কী ধরনের প্রভাব পড়ে। সূত্র: মেহের নিউজ

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...