নভেম্বর ১৭, ২০২৪

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ কাজে না লাগিয়ে এফডিআর করে অপব্যবহার করেছে। কোম্পানিটি আইপিওর টাকা এফডিআর করে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে সেই এফডিআরের বিপরীতে ঋণ নিয়েছে। ফলে আইপিওর টাকা অপব্যবহার বন্ধে কোম্পানিটির এফডিআরের বিপরীতে ঋণের লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি )। তাই এ বিষয়ে কোম্পানির এফডিআর থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে কোম্পানিটির ঋণের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

ব্যাংকটিকে দেয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আমান কটন আইপিওর ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে একটি এফডিআর করে। যে বিষয়ে তদন্তে বিএসইসি গত ২৯ মার্চ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এরআগে ৩ মে ২০১৮ সালে আমান কটনকে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে আইপিওর মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহে কমিশন অনুমতি দেয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত আইপিওর টাকা ব্যবহার পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ কোটি টাকাও ব্যবহার করেনি। বরং আইপিওর ৭৩ কোটি টাকা কোম্পানিটি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ (এফডিআর) হিসাবে জমা রেখেছে। যা আমান ফুডস লিমিটেড এবং আকিন ক্যারিয়ার লিমিটেডের অনুকূলে ঋণ প্রদানের জন্য এফডিআরের অধীনে লিয়েন করে রাখা হয়েছে। এতে আমান কটন আইপিও আয়ের অপব্যবহার করেছে, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২সিসি এর অধীনে আইপিওর সম্মতি পত্রের শর্ত লঙ্ঘন।

তাই এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি দ্বারা ব্যাংককে কমিশনের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমান কটনের নামে জমা থাকা এফডিআন হিসেবের ঋণ লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা এই চিঠি জারির তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে নিশ্চিত করে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএসইসির কমিশনের ৮০৭ তম সভায় আইপিওর টাকা ব্যাংকে স্থায়ী আমানত বা এফডিআর করে সেই এফডিআরের বিপরীতে গ্রুপের অন্য কোম্পানির নামে ঋণ নিয়ে অপব্যবহার করায় কোম্পানিটির পরিচালকদের প্রত্যেককে তিন কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...