

সাইফার মামলা ও তোশাখানা মামলায় মোট ২৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। এবার যোগ হলো আরও ৭ বছর।
শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে ইদ্দত শেষ হওয়ার আগেই বুশরা বিবিবে বিয়ে করার দায়ে দেশটির একটি আদালত আজ ইমরান ও বুশরা বিবিকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। খবর ডনের
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালত ইমরান ও বুশরা দম্পতির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি তাদের ৫ লাখ রুপি করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় বিশেষ ওই আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি।
বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার করা মামলায় ইমরান ও বুশরাকে এই সাজা দিলেন আদালত। মামলায় খাওয়ার মানেকা অভিযোগ করেছিলেন, তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই ইমরান খানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি, যা স্পষ্টতই শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন।
প্রতারণার অভিযোগ তুলে খাওয়ার মানেকার করা এ মামলার রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাকে ও তার স্ত্রীকে হেনস্তা করার জন্যই এমন মামলা করা হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী কম মূল্যে কিনে নেওয়ার অভিযোগে করা (তোশাখানা) মামলায় ইমরানকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিশেষ একটি আদালত।
তার এক দিন আগে ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের জেল হয়। একই মামলায় ইমরান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের জেল দেন আদালত।