চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৮ মাসে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। এলসি খুলতে না পারায় আমদানি ও রপ্তানিতে ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতিতে রাজস্ব ঘাটতি প্রকট হয়েছে।
এনবিআরের কাঁধে চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৮ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। কম আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৯৭৮ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআরের পরিসংখ্যান বলছে, আট মাসে ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের আদায় সবচেয়ে বেশি। এ খাতে আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। ঘাটতি হয়েছে ৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এই সময়ে মূসক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮২ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় একই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।
আয়কর খাতে ৮ মাসে আদায় হয়েছে ৬০ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ খাতে লক্ষ্যের চেয়ে ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর। এই খাতে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
একই সময়ে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। এই খাতে ৮ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার ১৩ কোটি টাকা।