আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পয়লা মহরম। শুরু হলো হিজরি নববর্ষ, ১৪৪৫। বাংলাদেশের আকাশে বুধবার সন্ধ্যায় মহরম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৯ জুলাই সারা দেশে পবিত্র আশুরা উদযাপিত হবে। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরি সনের শুভসূচনা হয়েছিল। তাই মুসলমান ও আরব বিশ্বে হিজরি নববর্ষ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে দাপ্তরিক কাজকর্ম হয় আরবি ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে।
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ত্যাগ ও কোরবানির ঐতিহাসিক স্মৃতি স্মারক হিজরি (আরবি) সন। ইসলামের প্রচার, প্রসার ও বিজয়কেতন উড্ডীনে হিজরি সনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অত্যধিক। ইসলামের শত্রুরা বিশ্বনবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলামকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আল্লাহর নির্দেশে বিশ্বনবী দিন প্রচারে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ত্যাগ করে ইয়াসরিবে (মাদিনা মুনাওয়ারায়) হিজরত করেন, যাকে কেন্দ্র করেই আজকের হিজরি সন।
হিজরি বছরের প্রথম মাস মহরম এবং শেষ মাস জিলহজ অনেক ফজিলত ও মর্যাদার মাস। আরবের অন্ধকার যুগেও চারটি মাসকে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হতো। প্রাচীন ক্যালেন্ডারে প্রথম মাস ছিল মহরম, আবার হিজরি সনের প্রথম মাসও মহরম। শরিয়তের দৃষ্টিতে এই মাস যেমন অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণও অনেক দীর্ঘ। ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী এই মহরম মাস। ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত হয় এ মাসে। মহরম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ। মহরম সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২। যেদিন থেকে তিনি সব আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি হলো সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং তোমরা এই মাসগুলোর সম্মান বিনষ্ট করে নিজেদের প্রতি অত্যাচার কোরো না।’ (সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)।