প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুইদিন পর আমরা বাজেট দিতে যাচ্ছি। ২০০৬ সালে বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকার। এখন আমাদের ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আগামী বাজেট (২০২৩-২৪) আমরা সাত লাখ কোটিতে নিয়ে যাচ্ছি।
সোমবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উদযাপন এবং বিশ্ব শান্তিরক্ষায় শাহাদাৎ বরণকারী সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রতিটি বাহিনীর, প্রতিটি মানুষের জীবন মান এবং তাদের দায়িত্ব পালনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আজকে ২০২৩ সাল, সর্বত্র একটা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজমান। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে, ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অগ্রগতি স্থিতিশীল পরিবেশের জন্যই সম্ভব হয়েছে। একটা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশই পারে একটি দেশের উন্নয়নের ধারা গতিশীল করতে এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে এটা বাস্তবায়ন করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার, আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাই-এর কানেকশন দিতে পেরেছি। আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছি ঘরে ঘরে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবো, আমরা স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলবো, স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। আমাদের আর্থসামাজিক সব উন্নয়ন হবে স্মার্ট। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি সংঘাতে নয়। বাংলাদেশ সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করে। এই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করণীয় বাংলাদেশ তা করবো