নভেম্বর ২৩, ২০২৪

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল মঙ্গলবার। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে মেয়র হানিফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবংঐ এলাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ এই শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিবেন।

১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে এই সময় ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে তার বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ প্রিয়কন্যা ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বিয়ে দেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদার। তিনি এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পরবর্তীতে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন মোহাম্মদ হানিফ।

১৯৯৬ এর মার্চে স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনে তারই নেতৃত্বে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করে তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ঘটানো হয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনে ভূমিকা রাখেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ নভেম্বর ৬২ বছর বয়সে মারা যান। খবর বাসস।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...