অক্টোবর ৮, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সরকার একটা অর্থও অপচয় করে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি অর্থ ব্যয় করা হয় মানুষের স্বার্থে, কল্যাণে, ভালো-মন্দের জন্য। রিজার্ভ থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মনে সব সময় ওই রকম ভয় থাকে। তাদের নেতা তারেক জিয়া মানি লন্ডারিং কেসে সাত বছরের কারাদণ্ড পেয়েছে। ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড পেয়েছে এবং সে পলাতক আসামি। মানি লন্ডারিং যাদের অভ্যাস, তারা ওইটাই জানে যে টাকা বুঝি সব নিয়েই যেতে হয়।

শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি প্রকল্প নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়-’ বিরোধী দল থেকে প্রায় প্রশ্ন করে, এর সাথে সারা বাংলাদেশে একটা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। তাদের আমি বলতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ ছিল মাত্র ২.৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এটা বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৫ বিলিয়নের মতো। এ জায়গা থেকে আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে সক্ষম হই। করোনা ভাইরাসের কারণে যোগাযোগ, যাতায়াত, আমদানি সব কিছু প্রায় বন্ধ ছিল। যখন যোগাযোগটা খুলে গেছে তখন আমাদের আমদানি করা, বিশেষ করে করোনা ভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তার আঘাতটা তো আমাদের দেশে এসে পড়েছে। আজকে রিজার্ভের টাকা থেকে আমদানি ব্যয় মেটাতে হচ্ছে, পাশাপাশি আমরা বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। করোনা পরীক্ষাও বিনা পয়সায় করেছি। পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশও বিনা পয়সায় টেস্টিংও করেনি, ভ্যাকসিনও দেয়নি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে

তিনি আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে, ভোজ্যতেল, গম, ভুট্টা, ডাল, যা কিছু আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে দাম বেড়েছে। চাল আমরা উৎপাদন করছি, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ, তারপরে আমাদের কিছু আমদানি করতে হয়। বন্যায় যখন ফসল নষ্ট হলো তখন চাল আমদানি করতে হয়েছে। আমরা যতটুকু খরচ করেছি, তা জনগণের কল্যাণে, জনগণের স্বার্থে করা হয়েছে। জনগণের খাদ্য কেনা, ক্যানসারের ওষুধ কেনা, জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের করতে হয়েছে। সার, জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ আমাদের ক্রয় করতে হচ্ছে। আমাদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা বিমান ক্রয় করেছি। নদী ড্রেসিং আমাদের নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করেছি। কিছু কিছু বিনিয়োগ করেছি এই কারণে, আমরা যদি অন্য দেশের ব্যাংক থেকে লোন নেই, আমাকে সুদসহ সেই ডলার পরিশোধ করতে হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, শ্রীলংকা যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তাদেরও কিছু টাকা আমরা ধার দিয়েছি। এখান থেকে কেউ পয়সা তুলে নিয়ে চলে যায়নি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *