পাকিস্তান টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার শনিবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সমালোচনা করে বলেছেন পুরো আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে এটা বিশ্বকাপের কোন মঞ্চ নয়, বিসিসিআইয়ের কোন ইভেন্ট। আহমেদাবাদে এক লাখ ৩২ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানী দর্শকদের অনুপস্থিতি দেখে আর্থার এই মন্তব্য করেন।
ভারতীয় ভিসা পেতে দেরী হওয়ায় কার্যত কাল আহমেদেবাদের পুরো স্টেডিয়াম জুড়েই ছিল ভারতীয় সমর্থকদের দাপট। অথচ পাক-ভারত দ্বৈরথে সাধারণত এমন দৃশ্য চোখে পড়েনা। ভারতীয় জার্সিতে পরিপূর্ণ বিশাল স্টেডিয়ামটি কাল যেন নীল সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। চির প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে ভারতের ৭ উইকেটে দাপুটে জয়ে সমর্থকদের ভূমিকাও কম নয়।
প্রতিবেশী পাকিস্তান থেকে নয়, বরং সুদূর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে আসা গুটি কয়েক পাকিস্তানী সমর্থক কাল বাবর আজমদের সমর্থন যুগিয়েছেন। হতাশ আর্থার ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি আইসিসির কোন ইভেন্টে এমন দৃশ্য দেখিনি। দেখে মনে হয়েছে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলছে। বিসিসিআই’র কোন ইভেন্ট হিসেবেই এই ম্যাচটিকে মনে হয়েছে। যদিও আমি এটাকে কোন অযুহাত হিসেবে দেখছি না।’
২০০৮ সালে মুম্বাই আক্রমনের পর ভারত ও পাকিস্তান পরিপূর্ণ কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এখনো পর্যন্ত খেলেনি। নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনে কোন দেশেই এই সিরিজ আয়োজন সম্ভব হয়নি। বিশ্বকাপের ম্যাচ টিকিট থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানী সমর্থকদের ভিসা দিতে গড়িমসি করে ভারতীয় দূতাবাস। যে কারনে গতকাল মাঠে ভারতীয় সমর্থকদের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
পাকিস্তানের ১৯১ রানের জবাবে ১৯.৩ ওভার বাকি থাকবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার দুর্দান্ত ৮৬ রানে ভর করে ভারত ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে। পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম সর্বোচ্চ ৫০ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন। আর কোন ব্যাটারই দলের স্কোর বড় করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কাল বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বলে আর্থার স্বীকার করেছেন, ‘আমি মনে করি আমাদের সামগ্রিক পারফরমেন্স মোটেই প্রত্যাশা মাফিক হয়নি। ভারতীয় স্পিনারদের আরো কিছুটা সতর্কতার সাথে খেলা উচিৎ ছিল।’ খবর বাসস।
ভারতের পাঁচ বোলার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদ্বীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিন্দ্র জাদেজা গতকালের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জয়ের রেকর্ড ৮-০’তে উন্নীত করেছে।