শেয়ারবাজারের এসএমই প্লাটফর্ম তালিকাভুক্তির আবেদন প্রত্যাহার করেছে এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাদের কিউআইও বাতিল করেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, এফএম প্লাস্টিক তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য অন্য উৎস থেকে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য এসএমই প্লাটফর্ম থেকে তাদের আবেদন প্রত্যাহারে কমিশনে চিঠি দিয়েছে।
সম্প্রতি কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের এসএমই প্লাটফর্মে কিউআইও’র মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়।
এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের পণ্যের মধ্যে রয়েছে কাপ, প্লেট, ঢাকনা, বাটি, বাক্স, ট্রে থেকে শুরু করে ফোস্কা প্যাকেজিং এবং ফেস মাস্ক। কোম্পানিটি দেশের বিস্কুট ট্রে সেগমেন্টে সবচেয়ে বেশি বাজারের শেয়ার ধারণ করে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ৩১ মার্চ ২০২৩ সমাপ্ত ৯ মাসে (জুলাই’২২- মার্চ’২৩) কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এদিকে ৩১ মার্চ ২০২৩ সমাপ্ত ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৮৯ টাকা। আর ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.০৩ টাকায়।
এফএম প্লাস্টিকের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুসারে, এটি বিস্কুট, কেক, আইসক্রিম, প্যাকেটজাত পানীয়, কফি, চা, এর মতো দ্রুত চলমান ভোগ্যপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির দ্বারা চালিত দেশে নিষ্পত্তিযোগ্য প্লাস্টিক এবং খাদ্য গ্রেড পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কাজে লাগাচ্ছে।
এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের সবচেয়ে বড় গ্রাহক হল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রাহকরা হল- রেডিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ডেকো ফুডস, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্টস বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এসিআই লজিস্টিকস এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ।