ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

ডলার সংকট সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলোও তা কাজে আসছে না। কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না রিজার্ভের পতন। আকু বিলের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার পর রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) আকুর বিল সমন্বয় হয়ে যাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার।

আকু হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এর সদস্য। এই ব্যবস্থায় দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের চলমান বৈঠকগুলোতে বাংলাদেশের রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এসব অর্থ রিজার্ভ থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলছেন আইএমএফ।

বেশ কিছুদিন ধরে ডলার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে। ফলে প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে ডলার সংকটের প্রভাব পুরো অর্থনীতির উপর পড়তে শুরু করেছে। অধীকাংশ ব্যাংক ডলার সংকটে ঋণপত্র খোলা থেকে বিরত থাকছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

এদিকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...