বাংলাদেশে দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরও মজবুত করতে এবং অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাপানের সহায়তা কামনা করেছেন। নিউইয়র্কে জাপানি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান জানান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেই তিনি এনএইচকে-কে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন আয়োজন করবে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যর্থতা এমন কিছু নয় যে, তা আমরা মেনে নিতে পারব না।’
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে ছাত্ররা—উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই বিপ্লবে তরুণেরা তাদের জীবন দিয়েছে। এ সময় তিনি নীতিনির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তার অবস্থানের ইঙ্গিত দেন।
দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসেরদ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার পেতে উন্মুখ।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তার দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে এবং সেখানে গণতন্ত্রের শেকড় গভীরে প্রোথিত করতে জাপানের সহযোগিতা অপরিহার্য।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনের পতন হয়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এই ব্যাংকটি সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে। দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতে।