ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে জেট ফুয়েলের মূল্য বাবদ ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা পাওনা রাষ্ট্রীয় সংস্থা পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের। দীর্ঘ সময় ধরে বাকি থাকা এ পাওনা অবশেষে পরিশোধে সম্মত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগ, বেসরকারি বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগামী জুন মাস থেকে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা কিস্তিতে পাওনা পরিশোধ শুরু করবে সংস্থাটি। যদিও এতে সময় লাগতে পারে ১২ থেকে ১৭ বছর। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, একেবারে না পাওয়ার চাইতে ধীরে ধীরে পাওয়াটা ইতিবাচক দিক।

এ প্রসঙ্গে পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বিমান বাংলাদেশের কাছে আমাদের বেশ কিছু বকেয়া ছিল। পর্যায়ক্রমে তো পরিশোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জুন মাস থেকে ১০-১৫ কোটি টাকা করে বকেয়া পরিশোধ শুরু করা হবে। এতে সময় লাগবে, তবে পাওনা আদায় হওয়াটাই ইতিবাচক দিক।

বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল লিমিটেড। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিমানের কাছে প্রতিষ্ঠানটির সুদে-আসলে পাওনা ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। পাওনা পরিশোধে বারংবার অনুরোধ করা হলেও তাতে গড়িমসি করতো বিমান। পদ্মা অয়েল বিষয়টি বিপিসি ও জ্বালানি বিভাগকে অবহিত করলে তারা বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে তা জানায়। অতঃপর বিমান বাংলাদেশ ২০ কোটি টাকা পরিশোধ করে বাকিটা দিতে অসম্মতি জানিয়ে তা মওকুফ করতে বলে।

পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৮ নভেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়। এর পর চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পদ্মা অয়েল কোম্পানি বকেয়া পাওনা আদায়ের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশকে চিঠি দেয়।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ বিমানের বকেয়া ও চলমান পাওনা আদায়ের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৭ এপ্রিল এ বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...