আদালতের নির্দেশে তিন দফায় শত একর জমি ও একাধিক ফ্ল্যাট জব্দ হয়েছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের। যা দেখে হতভম্ব খোদ সরকারী দলও। তবে এত সম্পত্তির হদিস মেলার পরও এখনো পর্যন্ত বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হয়নি কোনো মামলা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। শিগগিরই মামলা করা হবে। সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ ওঠাকে ভয়ংকর বলছেন দুদকের এই আইনজীবী। তিনি জানান, দুদক আইন অনুযায়ী যেগুলো অপরাধ ধরা হয় তার সবই করেছেন বেনজির।
সাবেক এই আইজিপি কোথায় আছেন তা জানেনা সরকারের কেউই।
গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন।
আদেশ অনুযায়ী, বেনজীরের সাভারের সম্পত্তি দেখবেন সেখানকার ইউএনও এবং গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক।