ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বাংলাদেশের ৩২ লাখ শিশুসহ ৮৪ লাখ মানুষ ঝুঁকেতে রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তার অধিকারের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। আজ সোমবার (২৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, সাইক্লোন রিমালের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৩২ লাখ শিশুসহ ৮৪ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তার অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, হাইজিন কিটস এবং জেরিক্যানসহ জরুরি সরবরাহগুলো পূর্বনির্ধারিত করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং আশ্রয়কেন্দ্রে সেগুলো বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া সংস্থার জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী ও অংশীদাররা নারী ও শিশুদের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মূল্যায়ন করছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শক্তি কমে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বর্তমানে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পাশাপাশি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।