সক্ষমতা অনুসারে দুর্বল ৫টি ব্যাংক নিয়ে একীভূতকরণের কাজ করা হবে। এর বেশি কাজ করা সম্ভব নয়। এসব ব্যাংকের একীভূতকরণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরে আরও দুর্বল ব্যাংকের বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেজবাউল হক বলেন, স্বেচ্ছায় যারা এখন পর্যন্ত দুর্বল ৫টি ব্যাংক অন্য ৫ ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে নিয়ে কাজ করা হবে। একীভূত করার প্রক্রিয়ায় দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এসময় ব্যাংকগুলো তাদের স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংক সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত মাসে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডুবতে থাকা আরেক বেসরকারি ব্যাংক পদ্মা।
এরপর একে একে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ডুবতে থাকা সরকারি বেসিক ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার খবর বেরিয়ে আসে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে চাওয়া ১০ ব্যাংকের বাইরে নতুন করে আর কোনো ব্যাংক একীভূত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।