ব্যবসার সুবিধার্থে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রেড লাইসেন্স শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) পাঁচ বছর মেয়দী ট্রেড লাইসেন্স ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সব কাজ অনলাইনে করা যাচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন। আমরা এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে গিয়েছি। প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স ৫ বছরের জন্য দেওয়া হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ও বিডার আওতায় যেসব ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন সবাই এই সুফল পাবেন।
মেয়র আরও বলেন, বিশেষ করে ঢাকা শহরের ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এমসিসিআই। দেশের মোট উৎপাদনের ৪০ শতাংশ হয় ঢাকায়। মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ার পর মানুষ আজ উচ্ছ্বসিত। ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করছেন। আগে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছোট ব্যবসায়ীরা হয়রানির মুখে পড়তো। ফলে তাদের ব্যবসায়ীক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিলো। এখন আর কোন হয়রানির মধ্যে পড়তে হবে না।
এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের হতদরিদ্র সীমা ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। এছাড়া মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার ছুঁই ছুঁই। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকরীরা এখব ব্যাপক আগ্রহ দেখায়। আগে ট্রেড লাইসেন্স ছিলো স্বল্পমেয়াদের জন্য। এতে প্রতিবছর ব্যবসায়ীদের হয়রানির মধ্যে পড়তে হতো। আমরা এ বিষয়ে পলিসি মেকার ও সরকার প্রধানকে জানিয়েছিলাম। সরকার প্রধান এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজকে ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর করা হলো।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১১ আগস্ট এখানে মেয়র আসছিলেন। তখন আমরা ট্রেড লাইসেন্স ৫ বছর করার কথা বলেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এটা খুবই জটিল কাজ। কারণ এটা রাজস্ব, এনবিআর ও স্থানীয় সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারপরেও অনেক কষ্ট করে মেয়র শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে মেয়াদ ৫ বছর করে দিলেন।