পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানি পরিদর্শন করার অনুমতি পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই)। গত সোমবার ডিএসইকে এই অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ৪২ কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানতে সরেজমিন পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি দিয়েছিল ডিএসই। এর মধ্যে অনুমতি পেয়ে ১২টির সরেজমিন তদন্ত শেষে বিএসইসিকে প্রতিবেদনও দিয়েছে।
কোম্পানি চালু আছে কিনা, থাকলে প্রকৃত অবস্থা কী তা জানতে পরিদর্শনে যাবে ডিএসই। এ সময় তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও কারখানা পরিদর্শন করবে। আগে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে পারতে স্টক এক্সচেঞ্জ। এখন অনুমতি ছাড়া কোনো কোম্পানি পরিদর্শনে যেতে পারে না ডিএসই।
এ অবস্থার মধ্যে সোমবার ৩১ কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানতে স্টক এক্সচেঞ্জটি অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বস্ত্র খাতের কোম্পানি ১০টি। বাকি ১২টি অন্য খাতের।
তালিকার ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো হলো–রূপালী এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে রয়েছে ফারইস্ট, এফএএস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং উত্তরা ফাইন্যান্স।
এছাড়া বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো হলো–আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, ড্রাগন সোয়েটার, সিএনএটেক্স, ডেল্টা স্পিনার্স, জেনারেশন নেক্সট, আরএন স্পিনিং, তাল্লু স্পিনিং, তুংহাই নিটিং এবং কাট্টলী টেক্সটাইল।
অন্য কোম্পানিগুলো হলো–জুট স্পিনার্স, বিচ হ্যাচারি, ইমাম বাটন, খুলনা প্রিন্টিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, সাইফ পাওয়ারটেক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, শ্যামপুর সুগার এবং জিল বাংলা সুগার। এসএমই বাজারে তালিকাভুক্ত অপর দুই কোম্পানি হলো–হিমাদ্রি এবং ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলস।