অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও পরিচালক এআর রাহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানু ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন তারা।
এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রাহমানের সহযোগী মোহিনী দে-ও তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। আর তার পরেই দুইয়ে-দুইয়ে চার করতে শুরু করেন অনেকে। সমাজের নীতিবানরা আঙুল তুলতে শুরু করেন মোহিনীর দিকে।
তাদের ধারণা, এই বঙ্গললনার কারণেই নাকি ঘর ভেঙেছে সুরকারের। যদিও লোকের কথায় কান দেওয়ার পাত্রী নন মোহিনী। দিব্যি শো করছেন, নিজের স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
তবে আতশকাচের তলায় যেন বারবার রাখা হচ্ছে অস্কারপ্রাপ্ত সুরকার এআর রাহমানকে। ক্রমাগত সমালোচনা ও কটাক্ষের মাঝে এবার মুখ খুললেন শিল্পী।
সম্প্রতি রহমানের এক্স হ্যান্ডলে তার আইনজীবীদের তরফ থেকে কয়েকপাতার একটি নোটিশ পোস্ট করা হয়। সেখানেই রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সুরকার ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে।
যেখানে বলা হয়েছে, বিচ্ছেদ নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট করেছেন অথবা ভিডিও দিচ্ছেন তারা অবিলম্বে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব তথ্য সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলুন। সেটা না হলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে।
এ আর রহমানের মেয়ে রহিমাও এই গুজবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেণ, ‘সর্বদা মনে রাখবেন, গুজবের জন্ম দেয় নিন্দুকেরা। ছড়িয়ে দেয় বোকারা। সেটা বিশ্বাস করে নির্বোধেরা।’ আসলে নাম না করেই বাবাকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের কড়া জবাব দিয়েছেন রহিমা।
রহমান ও সায়রার দীর্ঘ দাম্পত্যে তিন সন্তান রয়েছে তাদের। দুই মেয়ে খাতিজা ও রহিমা এবং এক ছেলে আমিন। খাতিজা বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আমিন অবশ্য সর্বক্ষণ বাবার পাশে পাশে থাকেন। আর মেয়ে রহিমা অবশ্য অনেক বেশি সোজাসাপটা কথা বলেন।
নেটপাড়ায় রহমান-মোহিনীকে নিয়ে নানা চটুল, রসালো খবর চাউর হতেই শেষমেশ মুখ খুললেন বড়কন্যা রহিমা রহমান। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন— সর্বদা মনে রাখবেন, গুজবের জন্ম দেয় নিন্দুকেরা। ছড়িয়ে দেয় বোকারা। সেটি বিশ্বাস করে নির্বোধরা। সত্যিই বলছি— নিজের চরকায় তেল দিন।
ছোট বোনের সেই পোস্ট শেয়ার করেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বড় বোন খাতিজা রহমানও।
আসলে নাম উল্লেখ না করেই বাবাকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবের কড়া জবাব দিয়েছেন রহিমা।
উল্লেখ্য, অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক এআর রাহমানের ঘরভাঙার খবরে তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দোষারোপ করা হচ্ছে তারই টিমের নারী সদস্য গিটারিস্ট মোহিনী দের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এ সংগীত পরিচালকের।
তবে এ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি এআর রাহমান। ১৯৯৫ সালে এআর রাহমান ও সায়রা বানুর বিবাহ হয়।