এপ্রিল ১৯, ২০২৪

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ ওভারেই ৩ উইকেটে ২০২ রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা। সিরিজ বাঁচাতে হলে ১৭ ওভারে ২০৩ করতে হবে আইরিশদের।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। এরপরই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। মাঝে একবার বৃষ্টি বন্ধ হলে ১৯ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঠ প্রস্তুত করার সময় ফের নামে বৃষ্টি।

পরে দ্বিতীয়বার ঘোষণা করা হয় ১৭ ওভার করে হবে ম্যাচে। সেইমতোই ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তিন ওভার কম, শুরু থেকেই আইরিশদের বোলারদের ওপর চড়াও হয় স্বাগতিকরা।

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪২ বলে ৯১ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েছিলেন লিটন দাস আর রনি তালুকদার। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও উড়ন্ত সূচনা করেন তারা।

৩.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেন লিটন-রনি। এটিই বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ। এর আগে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫০ করেছিল বাংলাদেশ।

উইকেটের চারদিকে বাহারি সব খেলতে থাকেন লিটন-রনি। আইরিশ বোলাররা চোখেমুখে সর্ষেফুল দেখছিলেন। ৭.১ ওভারেই ১০০ ছোঁয় বাংলাদেশ।

এটা টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরি পূরণের রেকর্ড (৪৩ বৈধ ডেলিভারিতে)। এর আগে রেকর্ডটি ছিল আগেই ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮.৫ ওভারে।

লিটন দেশের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন ১৮ বলে। রনি তালুকদারেরও সুযোগ ছিল ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার। সেই চেষ্টা করেছিলেনও তিনি।

কিন্তু বেন হোয়াইটকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন রনি। ২৩ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি চার আর ২টি ছক্কার মার। দশম ওভারে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লিটন ৪০ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৮৩ রানে। সুযোগ ছিল বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরির। কিন্তু ১৭ রানের জন্য তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁতে পারলেন না ডানহাতি এই ওপেনার। নিজের ভুলেই ফেরেন সাজঘরে।

বেন হোয়াইটের ওয়াইড বল ব্যাটে লাগাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন লিটন। ৪১ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে হাঁকান ১০টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা।

এরপর সাকিব আল হাসান আর তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ২৯ বলে ৬১ রানের জুটি। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৩ বলে ২৪ করে আউট হন হৃদয়। ২৪ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *