আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। চাহিদা তুলনায় আমদানি বাড়ায় প্রতিনিয়ত কমছে দাম। এদিকে কাঙ্ক্ষিত পাইকার না থাকায় বিপাককে আমদানিকারকরা।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। তবে নেই পেঁয়াজ কিনতে আসা কাঙ্ক্ষিত পাইকারি ব্যবসায়ী।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নাফিস ইকবাল সাদ জানান, হিলি স্থলবন্দরের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকের সারি। এসব ট্রাকে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা নাসিক, ইন্দ্র ও নগর জাতের পেঁয়াজ। প্রতিদিন এভাবেই বন্দরে প্রবেশ করে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। আর সকাল হলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বন্দর অভ্যন্তরে। কিন্তু সে তুলনায় পাইকারের আনাগোনা কম।
আরেক আমদানিকারক আশরাফ বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে লম্বা ছুটির কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ থাকবে। ফলে এখন প্রতিদিনই পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আসছে। এভাবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে।’
বর্তমানে প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের আমদানি। তবে আমদানি বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত পাইকারপত্রের দেখা নেই বন্দরে। এতে কমেছে দাম। আর দামের তারতম্যের ফলে পাইকারদেরও পড়তে হচ্ছে লোকসানের মুখে।
বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার সেলিম বলেন, ‘হিলি বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম প্রতিনিয়ত কমছে। আজ একদম তো কাল আরেক একদম, ফলে অনেক ব্যবসায়ীকে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্দরের আড়তগুলোতে সপ্তাহের শুরুতে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৬৫ টাকা, সেটা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৫৯ টাকায়। একইভাবে ইন্দ্রজাতের পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৪৯ টাকা আর নগরজাতের পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ফলে একদিনের ব্যবধানে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।’ সূত্র সময় টিভি।
এদিকে পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় কাস্টমসের সব কার্যক্রম শেষে বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় করতে সবধরনের সহযোগিতার কথা জানান হিলি পানামা পোর্ট লিং লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত সপ্তাহে বন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৯৪ ট্রাকে ৫ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আর চলতি সপ্তাহের ৩ দিনে আমদানি হয়েছে ভারতীয় ১৩২ ট্রাকে ৩ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন।