হিমালয়ের গিরিপথে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়েছে একদল বাংলাদেশি ট্র্যাকার। এছাড়া নেপালের থরোং-লা গিরিপথে আরোহণের পর ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ স্লোগানও দেন তারা।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থরোং-লা বিশ্বের সর্বোচ্চ উঁচু গিরিপথগুলোর মধ্যে একটি। ৫ হাজার ৪১৬ মিটার উচ্চতার গিরিপথটিতে পৌঁছানোর জন্য প্রায় ১০ দিন বিভিন্ন ভয়ঙ্কর পর্বতভূমির মধ্যদিয়ে ট্র্যাক করতে হয়।
এই গিরিপথে পৌঁছে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি ‘টুর গ্রুপ বিডি’র দুজন সদস্য মো. সোলাইমান ও তামিম মুনতাসির প্রথম ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলনেতা রাহি রাফসান।
মুনতাসির জানান, তারা ফিলিস্তিনের পতাকা সঙ্গে নিয়ে যান। তারা গিরিপথটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ‘অন্নপূর্ণা’ সার্কিট ট্র্যাকের শেষ দিনে পতাকাটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেন।
তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা ইসরাইলের বড় একটি পর্বতারোহী দলের সামনেই পতাকাটি ওড়াতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের পতাকা ওড়ানো এবং স্লোগান আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
গ্রুপের আরেক সদস্য সোলাইমান বলেন, ইসরাইলি গ্রুপটি আমাদের পতাকা তুলে স্লোগান দিতে দেখে বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়। এমনকি তাদের মধ্যে একজন আক্রমনাত্মকভাবে আমাদের দিকে এগিয়ে এসেছিল, কিন্তু তার দলের অন্য সদস্যরা তাকে বাধা দেন।
গাজায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের মধ্যে ইসরাইলি ভ্রমণকারী ও পর্যটকরা ক্রমবর্ধমানভাবে বাজে পরিস্থিতি এবং কখনো কখনো বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।
স্টিভেন সোচোচেটের নামে ইসরাইলের এক পর্বতারোহী নেপালের কিছু স্থানে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। থুরং-লা ওঠার পথে তাকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আরেক ইসরাইলি সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছিল।
সোচোচেট দৃঢ়ভাবে বলছিলেন যে এটিকে আর যুদ্ধ বলা যাবে না, কারণ ইসরাইল মূলত পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।
তার দলের অন্য সঙ্গী বলছিলেন, ইসরাইলের আত্মরক্ষা এবং হামাসের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আছে।
ট্যুর গ্রুপ বিডির দলনেতা রাফসান ইসরায়েলি সোচোচেটের সঙ্গেই পর্বতারোহণে ছিলেন। তিনি ইসরাইলি এ পর্বতারোহীর অবস্থান দেখে বিস্মিত হন।
রাফসান বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ইসরাইলি এক নাগরিক এমনটি বলছেন। তখন আমি বুঝতে পারি, যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি গাজায় ইসরাইলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানাবেন। অবশ্যই ইসরাইলে বিবেকবান মানুষ রয়েছে।