গাজা যুদ্ধবিরতি সপ্তম দিনে হামাস কর্তৃপক্ষ আট জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি প্রাপ্ত এসব জিম্মির মধ্যে উরুগুয়ে, মেক্সিকো এবং রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার আজ শুক্রবার একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে আজ আটজন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দ’ুজন নাবালক এবং ছয় জন নারী রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, গাজায় বন্দি থাকা মোট ১০জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনের ৩০ নাগরিককে ইসরাইয়েল কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদের মধ্যে গতকাল মুক্তি পাওয়া দুই রাশিয়ার নাগরিক অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা গাজা সংলগ্ন দক্ষিণ ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ চালিয়ে সবাইকে স্তম্ভিত করে দেয়। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের এই আক্রমণে ১২০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে।
এর প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সাত সপ্তাহ ধরে তাদের টানা ব্যাপক হামলায় ১৪৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৬০০০ জন শিশু।
গাজায় টানা সাত সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলে অবিরাম হামলার পর কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে চার দিনের এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা হয়। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী এই সময় প্রতিজন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে শুরু করে ইসরায়েল। এ সময় অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি ত্রাণ ও জ্বালানি সরবরাহও শুরু হয়, যদিও তা প্রয়োজনের তুলনার খুব কম।
চারদিনের যুদ্ধবিরতি সোমবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মধ্যস্থাতাকারীদের প্রচেষ্টায় শেষ মুহূর্তে তা আরও দুই দিন বাড়ানো হয়। বাড়তি মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এদিনও শেষ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস।