চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে ৫১ বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৩৮ এবং মহিলা ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪০ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৬৩ হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ৬১টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৭টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। সৌদিতে তীব্র দাবদাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৩৪ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা যাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ৩১ জনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো প্রকাশ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।