সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ১২টি দেশের ১৪ জন সামরিক কর্মকর্তা। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের এই সামরিক প্রতিনিধিরা (ডিফেন্স অ্যাটাশে) শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের প্রতি তারা ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর বিদেশি সামরিক কর্মকর্তারা জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১২ দেশের ১৪ সামরিক কর্মকর্তা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ডেম্পসি, চায়নার প্রতিনিধি সিনিয়র কর্নেল ডু জিংসেন, ভারতের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার মানমিত সিং সাবারওয়াল ও স্কোয়াড্রন লিডার আভুতোষ শার্মা, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল আজওয়ান আবদি, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার সো ন্যুয়েত, নেপালের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার রোশান শামসের রানা, প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধি কর্নেল মাহমুদ সারাওনাহ, রাশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল সারগেই ভিক্টরোভিচ নেয়দেনভ্ ও লে. কর্নেল আলেক্সি ইয়্যুরিভিচ তেরেকভ, তুর্কির প্রতিনিধি কর্নেল এরদাল শাহীন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ক্র্যাফোর্ড ম্যাকলিলান স্কর্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লে. কর্নেল মাইকেল এরিক দ্যিমেশেই ও মেজর ইয়ান লিওনার্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, সেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন। তারা ডিজিএফআই'র ব্যবস্থাপনায় আজকে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। এখানে ১২টি দেশের ১৪ জন সামরিক প্রতিনিধি শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
ডিজিএফআই প্রধান বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা আমাদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।