দেশের পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসনের বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। পুঁজিবাজারে কারসাজি বন্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জাতির সূর্যসন্তান ডিজিএফআই, এনএসআই এবং বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কর্মকর্তাদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে একটি পৃথক ইউনিট গঠন করার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হঠাৎ কেন এই ইউনিটের দাবি করা হলো।
এবিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, দেখুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিস এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সার্ভিলেন্স বলে একটি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। যেখান থেকে দ্রুত কারসাজি রোধ করা সম্ভব। তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে এতো সব ব্যবস্থা থাকার পরও পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিন ধরে কি করে লুটতরাজ চলছে। সহজ করে যদি বলি সর্ষের ভিতরই ভূত। দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক নাটক দেখে আজ বিনিয়োগকারীরা অতিষ্ঠ হয়েই রাজপথে নেমে এসেছেন। কতটা লজ্জাজনক দেখুন আমাদের বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুট করে উল্টো আমাদেরই দোষারোপ করা হয়। দীর্ঘদিন যারা পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করে দেখাতে পারেননি উল্টো সাধারণ মানুষগুলোর অর্থ লুটে জড়িত তাদের উপর কি করে আমরা বিস্বাস রাখি।
তিনি আরো বলেন , এই সার্ভিলেন্সে মুষ্টিমেয় কর্মকর্তারা কারসাজিতে জড়িয়ে পরেছে ,তাছাড়া এই ডিএসই এর ভিতর দুর্নীতিবাজদের আখড়া গড়ে উঠেছে। অভিযোগটি আমাদের নয় সাবেক এমডি তারেক আমিন সাহেব এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সাংবাদিকদের নিকট বলে গেছেন।
আপনারা যারা আমাদের প্রশ্ন করছেন কেন গোয়েন্দা সংস্থার সম্মিলিত ইউনিট চেয়েছি তাদের কে আমরা উল্টো প্রশ্ন করি আমাদের নিকট কি অন্য কোন উপায় আছে , আমরা কি জেনে শুনে লুটেরাদের হাতে আমাদের পুঁজি তুলে দিতে পারি ?
ঐক্য পরিষদের এই নেতা আরো বলেন , আমরা দাবি করছি এমন একটি ইউনিটের যারা পুঁজিবাজার থেকে অর্থ পাচার রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। পাশাপাশি কারসাজি রোধে যে কোন তথ্য পাওয়ার অধিকার এই ইউনিট কে দিতে হবে। কোন শেয়ারের দাম অতিরঞ্জিত উঠা নামা করলে সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে তথ্য সগ্রহ করে তদন্ত করার অধিকার দিতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করে একটি চক্র পুঁজিবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের মতো দীর্ঘসময় দরপতনের বৃত্তে আটকে থাকা পুঁজিবাজার বিশ্বে নজিরবিহীন। তারপরও একের পর এক মানহীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে লিস্টিং অব্যহত রয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পুঁজিবাজারের এই করুন দশা বাংলাদেশ সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে দাঁড়িয়েছে।
স্মার্ট পুঁজিবাজার গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারলিপিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
পুঁজিবাজারের চলমান অস্থিশীলতার প্রেক্ষিতে একটি টেকসই, স্থিতিশীল ও স্মার্ট পুঁজিবাজারের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
দেশের র্অথনীতির একমাত্র প্রাণ “পুঁজিবাজার” আজ গভীর সংকটে আবর্তিত। শিল্প-বাণিজ্য খাতের বিকাশে পুঁজিবাজারের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। শিল্প ও বাণিজ্যক পুঁজির মূল উৎসই হলো “পুঁজিবাজার”। বিশ্বের প্রতিটি দেশে পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজার পারস্পারিক সমান্তরাল ও শক্তিশালী খাত হিসাবে বিবেচিত। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজার মুদ্রাবাজারের সাথে সাংঘর্ষিক রূপ লাভ করেছে। সেই সুযোগে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো কর্পোরটে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে আরও ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং আপনার সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করছে। আপনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও প্রযুক্তি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা, আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা প্রভৃতির অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে দেশবাসী গর্বিত। কিন্তু আপনার এইসব সাফল্যকে ম্লান করতে পুঁজিবাজারের ষড়যন্ত্রকারীরা পাঁয়তারা করছে।
হে দেশরত্ম,
আপনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। দেশের যুব সমাজ যাদেরকে আপনি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তারাই পুঁজিবাজারের প্রাণ ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারীর একটি বিশাল অংশ। তারাই আপনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বকে বুকে ধারনকরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে চেয়েছে একটু জীবন জীবিকা। আপনার “ন্যাশনাল সার্ভিস” এ চাপ সৃষ্টি না করে সেই যুব সমাজ স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য তাদের পারিবারিক সঞ্চয় পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছে। কর্পোরেট ষড়যন্ত্রের কারণে সেই সঞ্চিত পুঁজি হারিয়ে জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছে।
হে গণতন্ত্রের মানসকন্যা,
আমাদের জীবন-জীবিকার জন্য আমরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছি। পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দর পতনের কারনে আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আজ নিঃস্ব। পুঁজি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা একের পর এক আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। বাজারের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আপনার সু-দৃষ্টি পাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক মোস্তাকের প্রেতাত্বারা আপনার চারদিকে অদৃশ্য প্রাচীর তৈরি করে রেখেছে। আমাদের বুকফাটা আর্তনাদ, কান্না, পারিবারিক অস্থিরতা ও সামাজিক সমস্যা প্রকাশ করতে যাওয়ার কারণে নির্মম ও নির্লজ্জভাবে আমাদেরকে “ফটকাবাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। গত কয়েক বৎসরে চলমান রাজস্ব খাতের আয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপুল মুনাফা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পুঁজিবাজার যে বিশেষ অবদান রেখেছে তার জন্য আপনার সরকার বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু আজ সেই পুঁজিবাজার অবহেলিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।
হে জননেত্রী ও গরীবের বন্ধু,
আমরা বিনিয়োগকারীরা বার বার বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই, আইসিবি, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, পাবলিক লিষ্টেড কোম্পানী এসোসিয়েশন সবার সাথে বাজারের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি। আমাদের পরামর্শ তুলে ধরেছি যা অন্য কেউ চিহ্নিত করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের কথাই কেউ গুরুত্ব দেয় নাই। আমরা একটি স্থিতিশীল ও গতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য আপনার স্মরণাপন্ন হয়েছি। দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থা অবগত আমরা ৩ কোটি জনগণের জীবন-জীবিকার কথা বলেছি। শিল্পায়নের কথা বলেছি। আমরা আপনার সরকারের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছি। আপনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে “আমরা করব জয় একদিন” এই শপথ নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
হে জনদরদী, হে আমাদের অভিভাবক,
আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বের আরো একটি বড় অবদান- বর্তমান বাংলাদেশ সিকিউরিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নিয়োগ দান। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য উল্লেখযোগ্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করে চলছেন। দীর্ঘদিনের মন্দাভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে শুরু করে। বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পায়। দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। আপনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজার সামনের দিকে এগিয়ে চলছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, করোনা মহামারী, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ইত্যাদির কারণে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি কর্পোরেট ষড়যন্ত্রের কারণে বাজারের পতন ত্বরান্বিত হতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয় এবং বিনিয়োগকারীরা চরম ক্ষতির মধ্যে পরে। তাই দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড পুঁজিবাজারকে একটি টেকসই, স্থিতিশীল ও স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত “সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রাণের দাবী আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরছি:
১। আপনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই আমরা অনিয়ম ও দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট পুঁজিবাজার গঠনের জন্য আপনার নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
২। পুঁজিবাজারের চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সহজ শর্তে অর্থাৎ ৩% সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্ধ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। যা আইসিবি বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজিং এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫% হার সুদে লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হতে সহায়তা করবে।
৩। পুঁজিবাজারের বন্ড ও মিচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটেডের বাহিরে রাখার বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারী করার জোর দাবী জানাচ্ছি। এতে পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়বে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে।
৪। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত চলমান ফ্লোরপ্রাইজ বহাল রাখা, ফোর্সসেল বন্ধ রাখা এবং সকল প্রকার আইপিও ও রাইট শেয়ার ইস্যু বন্ধ রাখার দাবী করছি।
৫। লভ্যাংশের উপর থেকে ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানীগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভাল লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।
৬। পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত অনেক কোম্পানী ভালো মুনাফা করা স্বত্ত্বেও উপযুক্ত লভ্যাংশ প্রদানে গড়িমসি করে। কোম্পানীগুলোর নীট মুনাফার নূন্যতম ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে।
৭। তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোর কর হার এবং অতালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোর কর হারের পার্থক্য পার্থক্য ৭.৫০% ভাগ। তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোর কর রেয়াত ৭.৫০% শতাংশ বিদ্যমান। এ সুবিধা ভালোমানের কোম্পানীগুলোকে পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্তর জন্য উৎসাহিত করেন। তাই তালিকাভূক্ত কোম্পানী এবং অ-তালিকাভূক্ত কোম্পানীর কর হারের পার্থক্য ১৫% করার জোর দাবী করছি। এতে বহু ভালো মানের কোম্পানী পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হতে আগ্রহী হবে, কোম্পানীগুলোর নীট মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এবং লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে। ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।
৮। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার বৃহত্তর স্বার্থে “বাইব্যাক আইন” পাশ করার জোড় দাবী জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদকে ইস্যুমূল্যে অথবা ঘঅঠ এর ৫% কম এই দুইটি মধ্যে যেটি বেশী হবে সেই মূল্যে শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে।
৯। অপ্রদর্শিত অর্থ ৫ শতাংশ কর প্রদান করে বিনা শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিবে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, পুঁজিবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমানে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
১০। মহামান্য হাই কোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত বিএসইসি-এর ২সিসি ধারা মোতবেক শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্ত প্রতিটি কোম্পানী পরিচালকগণকে সম্মেলিতভাবে নূন্যতম ৩০% শতাংশ শেয়ার ধারণ এবং ব্যক্তিগতভাবে ২% শেয়ার ধারণে বাধ্য করার দাবী জানাচ্ছি।
১১। পুঁজিবাজারের সুশাসন ও স্থিতিশীলতার জন্য ভবিষ্যতে কোন কোম্পানীকে আইপিও এর মাধ্যমে টাকা তুলতে হলে কমপক্ষে পরিশোধিত মূলধনের ১০% শেয়ার আপলোড করার বিধান রাখার জোড় দাবী করছি।
১২। কারসাজি বন্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে BFIU এর মতো একটি নতুন ইউনিট চালু করার দাবী জানাচ্ছি। যেখানে DGFI, NSI, SB এর কর্মকর্তারা সংযুক্ত থাকবেন এবং যা সরাসরি কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বাধীন থাকবে।
হে গণতন্ত্রের মানসকন্যা,
বিনিয়োগকারীদের এই দাবীগুলো আপনার সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্যকে আরো বেগবান করে আপনার নেতৃত্বকে আরো সাফল্যমন্ডিত ও উজ্জ্বল করবে। আমরা আপনার দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদেরকে বাচাঁন। আর্থিক সংকট ও অভাব-অনটন আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা আপনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন “সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে আমাদের দাবীগুলো সুবিবেচনার জন্য আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।
আপনার সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে
কাজী আবদুর রাজ্জাক
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ