বিশ্বকাপের প্রতিটি স্টেডিয়ামে উচ্চমাত্রার এসি ব্যবহার করছে কাতার। মাঠের পারফরম্যান্সে উষ্ণ আবহাওয়ার যেন কোনো প্রভাব না পড়ে সেই চিন্তা থেকেই এ ব্যবস্থা। তবে অভিযোগ উঠেছে বিশ্বকাপ আয়োজকদের বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্টের মধ্যকার ম্যাচের একঘণ্টা আগেই নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্টেডিয়ামের এসিগুলো। আর তাতেই পাল্টে গিয়েছিল পুরো ম্যাচের ভাগ্য!
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে (২৫ নভেম্বর) আল বায়াত স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। তবে তুলনামূলক কম শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। স্টেডিয়ামে ম্যাচের সময়ের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই নাকি নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি ইংলিশ ফুটবলাররা।
ম্যাচটির পর কয়েকজন ইংলিশ ফুটবলার অভিযোগ তুলেছেন, ম্যাচের মধ্যে বেশ গরম অনুভব হচ্ছিল। সে কারণে বেশ ক্লান্তি অনুভব করছিলেন তারা। তাদের এমন অভিযোগের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন বেশ কয়েকজন মার্কিন ফুটবলাররও।
জানা গেছে, স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরের গড় তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হয়। ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ম্যাচের একঘণ্টা আগে তাই এসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এতেই বাধে বিপত্তি! যদিও এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল দল।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, কাতারে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম থাকে। তাই এ সময়ের ম্যাচগুলোতে তীব্র গরম অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও আগের ম্যাচগুলোর সময় নাকি স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রচণ্ড ঠান্ডাই ছিল বলে জানিয়েছে ফুটবলার ও গ্যালারিতে থাকা দর্শকররা।