রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার কলেজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল মঙ্গলবার কবি নজরুল সরকারি কলেজের শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকবে।’
এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী কলেজ দু’দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সঙ্গে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান সংঘর্ষের জেরে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজটির অধ্যক্ষ ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সোম ও মঙ্গলবার কলেজের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবারের অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষাও স্থগিত থাকবে।
অধ্যাপক কাকলী অভিযোগ করে বলেন, আমার আক্ষেপ করে বলতে হচ্ছে রোববার থেকে আজ পর্যন্ত আমার ক্যাম্পাসে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। আমি এখন যাত্রাবাড়ী আসছি। এখানে আমার শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যু থাকায় আমাকে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে আজ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কলেজটির বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যান হামলাকারী শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টার দিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শত শত শিক্ষার্থী গিয়ে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান।
জানা যায়, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায় মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স প্রথম বর্ষের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন ‘সুপার সানডে’ ঘোষণা করে সোহরাওয়ার্দী কলেজে, নজরুল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিকেলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। রোববার হামলার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের নিজস্ব গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ আলমারি ভেঙে নগদ অর্থও লুট করা হয় বলে জানায় কলেজ প্রশাসন।