বিজ প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ঢাকা থেকে আসা স্বর্ণদ্বীপ প্লাস লঞ্চের সাথে ব্রিজের ধাক্কায় লঞ্চের ছাদের ওপরে থাকা পানির ট্যাংক পড়ে তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। তাদেরকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
রোববার (২৩ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মাইজারা এলাকায় মেঘনার শাখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতেরা হলেন- জামালপুরের বোরহান আলীর ছেলে সাগর আলী, টাঙ্গাইলের নাজিমউদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ ও গোসাইরহাটের শাহ আলী মোল্লার ছেলে তানজিল। এ সময় হিরা ও রাব্বি নামে আরও দুজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণদ্বীপ প্লাস ডামুড্যার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। লঞ্চটি গোসাইরহাটের সাইক্ক্যা সেতুর সাথে ধাক্কা লাগে। এতে করে লঞ্চে থাকা পানির ট্যাংকি নিচে পড়ে যায়। এ সময় নিচে শুয়ে থাকা যাত্রীদের গায়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই লঞ্চের তিন যাত্রী মারা যায় এবং দুজন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গোসাইরহাট থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার বলেন, শনিবার রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে স্বর্নদ্বীপ লঞ্চটি ডামুড্যার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ভোর রাতের দিকে মেঘনা নদী থেকে লঞ্চ জয়ন্তিয়া নদীতে প্রবেশ করে। গোসাইরহাটের সাইক্কা এলাকায় সেতুর সঙ্গে লঞ্চের তৃতীয় তলায় থাকা পানির ট্যাংকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ওই পানির ট্যাংক ছিটকে ঘুমন্ত যাত্রীদের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিন যাত্রী মারা যান। আহত হন ২ জন।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফি বিন কবির বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। নিহত ৩ যাত্রীর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য রাখা হয়েছে। আর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।