টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, ধোপাজানসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জে পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী-হাওরে এখনও পানি বাড়ছে। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের।
শহরের একদম পাশের গ্রাম ইব্রাহিমপুরের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘নদীর পানি কমছে-বাড়ছে। গতকালও এখানে (ইব্রাহিমপুর নদীর পাড়) পানি ছিল না। আজ পানি ভরে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে চলাচলে অসুবিধায় পারছি। আজ বাচ্চাদের তাদের নানা বাড়ি দিয়ে আসব। যদি গতবারের মতো পানি বেড়ে যায়, তাহলে মহামছিবতে পড়ে যাব।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, উজানের ঢল আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জের ছাতক পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ষোলঘর পয়েন্টেও নদীর পানি বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখাসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আশা করি, বন্যা হবে না। তাও আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’