এপ্রিল ২৫, ২০২৪

রাজধানীর কাপ্তানবাজারের পাশে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সুইপার কলোনিতে লাগা আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফ্লাইওভারের পিলার ও নিচের কংক্রিটের একাংশ।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুনের কারণে হানিফ ফ্লাইওভারের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষ। ফ্লাইওভারের নিচে এভাবে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ। এমতাবস্থায় বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে না নিলে এরকম ঝুঁকি বাড়তেই থাকবে।

কাপ্তানবাজারের পাশে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সুইপার কলোনিতে রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে মোট সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই সুইপার কলোনিতে টিনশেড ঘরে মানুষ বসবাস করে। এখানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না হতো। এখানে অনেক দাহ্য পদার্থ ছিল। এ কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে, কলোনিতে লাগা আগুন যেন অন্যদিকে ছড়িয়ে না পড়ে। কারণ পাশে আরও অনেকের বসবাস এবং কিছু আবাসিক ভবন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের এক ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় সাড়ে চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের পিলার ও কংক্রিটের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার। পরীক্ষা করলেই জানা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্লাইওভারের নিচে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে এ রকম ঝুঁকি বাড়তেই থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পাওয়া তথ্য মতে, সুইপার কলোনির আনুমানিক ২০টি টিনশেড ঘর আগুনে পুড়েছে। আগুনের ঘটনায় নারীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।

তিনি বলেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এখানে দাহ্য পদার্থ ছিল, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। যেকোনো কারণেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, আমরা তদন্ত করে দেখব।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *