ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। নিহত ব্যক্তিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী 'গরু পাচারকারী' বলে অভিহিত করেছে - একথা জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাত্রে শৌচ করার জন্য ঘরের বাইরে বের হতেই বিএসএফ তাকে গুলি করে এবং সেখান থেকে দেহ টেনে নিয়ে সীমান্তের পাশে ফেলে আসে।
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলায় শুক্রবার রাতে এবং তার নাম গৌতম বর্মণ।
কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থানায় যে লিখিত ঘটনাক্রম জমা দিয়েছে বিএসএফ, সেটি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন জেলার পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট সুমিত কুমার।
লিখিত বয়ানে বিএসএফ বলেছে , “অর্জুন সীমান্ত চৌকিতে প্রহরারত বিএসএফ সদস্যরা রাত পৌনে একটার দিকে কিছু দুষ্কৃতিকারীর চলাচল লক্ষ্য করে, তাদের সঙ্গে গরু ছিল, যেগুলি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে, কিন্তু দুষ্কৃতিরা ধারালো এবং ভোঁতা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে, তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।“
কুচলিবাড়ি থানায় জমা দেওয়া লিখিত বয়ান উদ্ধৃত করে কোচবিচারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, “বিএসএফ সদস্যরা পিএজি থেকে এক রাউণ্ড গুলি চালায়। পরে তল্লাশির সময়ে কাঁটাতারের বেড়া বিহীন একটি এলাকায় মাথায় গুলি সহ এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ বিএসএফ সদস্যরা দেখতে পান। তার পাশে দুটি গরু, একটি দা এবং কিছু বাঁশের লাঠি পাওয়া গেছে। বিএসএফ তাদের নিজস্ব পুরুষ নার্সকে ডেকে পাঠায়, এবং তিনি দেহটি পরীক্ষা করে জানান যে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
পাম্প অ্যাকশন গান, যেটি সাধারণ ভাবে মারণাস্ত্র নয়, কিন্তু খুব কম দূরত্ব থেকে ওই বন্দুক থেকে ছোঁড়া গুলিও মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে বিএসএফ দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পরে ওই ব্যক্তিকে ফুলকাডাবরি গ্রামের বাসিন্দা গৌতম বর্মন বলে শনাক্ত করেন তার আত্মীয়রা।