আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এই বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার সুযোগ ছিলো। পাশাপাশি এর মাধ্যমে ধূমপানের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। তবে এই সুযোগ বাজেটে কাজে লাগানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।
মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘সিগারেটে কার্যরক করারোপ’ বিষয়ে বাজেট-পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগি অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম।
উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষে প্রেক্ষাপট পত্র উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী। তিনি জানান, সিগারেটে কার্যকর করারোপের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাজেট অধিবেশনের অনেক আগে পৌঁছানো হলেও আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে তার সামান্যই প্রতিফলিত হয়েছে।
জনগণকে বিশেষত তরুণ সমাজকে সিগারেটের অভিশাপ থেকে সুরক্ষা দিতেই বাজেটে সহজলভ্য সিগারেটের দাম বেশি বেশি করে বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন ড. তানিয়া হক।
ড. নাজমুল ইসলাম বলেন, আপাত দৃষ্টিতে প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম যতোটা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, আসলে তা ঘটেনি। দশ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে, সিগারেট আসলে আগের তুলনায় বরং সহজলভ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা অনুসারে সিগারেটের ওপর কর ও সিগারেটের দাম বাড়ানো গেল দেশে কেবল ধূমপানের হার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমতো তাই নয়, পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদে সরকারের রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো যেত।
প্রস্তাবিত বাজেটটি চলতি মাসের শেষ নাগাদ মহান জাতীয় সংসদে চুড়ান্ত হওয়ার আগে নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনাগুলো আইনপ্রণেতারা পুনর্বিবেচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।