মার্চ ২৮, ২০২৪

বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে আইএমএফ প্রাথমিকভাবে সম্মতি দেওয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এ ঋণ প্রোগ্রামে সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রমগুলোকে সমর্থন করায় আইএমএফকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহকে সব বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতি করছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সফররত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহে বলেন, সরকারের ইতোমধ্যে ঘোষিত ও মৌলিক সংস্কার কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। একইসঙ্গে চলমান সংকট মোকাবিলায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহের করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *