ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার পুলিশ তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়ের আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এন্তাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল-বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রমেশ চন্দ্র সেনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এমনকি আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি আদালতে কোনো বক্তব্যও দেননি। পুরোটা সময় রমেশ চন্দ্র সেন নিশ্চুপ ছিলেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮০০ থেকে ১০০০ শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার ওপর শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল।
এ সময় আসামিরা শিক্ষার্থীদের ওপর বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পরে ককটেল-বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
মামলায় রমেশ চন্দ্র সেন ছাড়াও আসামি করা হয়েছে-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্তসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।
এর আগে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সাবেক সংসদ রমেশ চন্দ্র সেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি পানিসম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হন।