বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এ দিন দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সুপর্ণা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ২০ বিধি অনুযায়ী অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্ত্রী, সন্তানের আয়-বায়ের সঠিকতা এবং তাদের মালিকানাধীন অন্য কোনো সম্পদ রয়েছে কি না তা যাচাই/পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য শুরু থেকে ২০২১-২২ করবর্ষ পর্যন্ত সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং নন্দিতা সুর চৌধুরী আয়কর নথি পর্যালোচনা করা অবশ্যক। তাদের আয়কর নথি আয়কর আইন-২০২৩ এর ৩০৯ (৩) (ক) ধারা অনুযায়ী (কপি সংযুক্ত) জব্দ করার লক্ষ্যে আদালতের আদেশ প্রয়োজন।
আর এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অবসরে রয়েছেন।
তিনি ডেপুটি গভর্নর থাকার সময় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আলোচিত ব্যাংকার পি কে হালদারের তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এস কে সুরের বিরুদ্ধে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল।
এর আগে পি কে হালদারের কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর।
এর আগে ১৫ মার্চ হাই কোর্ট এক এক আদেশে প্রশ্ন তোলে এস কে সুর চৌধুরীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ২০২২ সালের ২৯ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তাকে নিয়ে আর খবর আসেনি গণমাধ্যমে।