সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফাইনালে জোড়া গোল করে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে মিরাজুল ইসলাম। পেয়েছে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে দেশে ফেরার কয়েক ঘন্টা পরেই পেলেন আরেক সুখবর। ভূটানে প্রীতি ম্যাচের জন্য জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন তিনি।
৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ দু’টি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে। সেই ম্যাচ খেলতে আগামীকাল দুপুরে থিম্পুর উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এই দুই ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের স্পেনিশ হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ১৪ জনের নাম ঘোষণা করেছিলেন। সেই ১৪ জনকে তিন দিন অনুশীলন করানোর পর আজ সন্ধ্যায় চূড়ান্ত ২৩ জনের স্কোয়াড দিয়েছেন। ১৪ জন থেকে আরমান ফয়সাল আকাশ, জায়েদ আহমেদ, কাজেম, দিদারুল বাদ পড়েছেন। ঐ ১০ জনের সঙ্গে বসুন্ধরা কিংসের সিনিয়র ৯ জন ফুটবলারের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন দল থেকে ৪ জনকে নিয়েছেন।
জাতীয় দলের স্পেনিশ কোচ চূড়ান্ত দল নিয়ে বলেনদ ‘চ্যাম্পিয়ন দলের কয়েকজনকে আমরা জাতীয় দলে নিয়েছি। এর মধ্যে মিরাজুল ও শাকিল তপুই নতুন। রাহুল ও চন্দন জাতীয় দলে ক্যাম্প করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা ভুটানে গিয়ে ছয় দিন সময় পাব। ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকব।’
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন আসিফ। উদীয়মান এই গোলরক্ষক অবশ্য জাতীয় দলের কোচের দৃষ্টি কাড়তে পারেননি। ১৪ জনের মধ্যে ডাকা তিন গোলরক্ষক মিতুল মারমা, সুজন ও পাপ্পু দুই সহোদরকেই চূড়ান্ত দলে রেখেছেন।
ভুটানের বিপক্ষে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড-
গোলরক্ষক– মিতুল মার্মা, মোহাম্মদ সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন।
ডিফেন্ডার– মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল ,শাকিল হোসেন,তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, বিশ্বনাথ ঘোষ , শাকিল আহমেদ তপু।
মিডফিল্ডার– মোহাম্মদ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, মোঃ সোহেল রানা, মিরাজুল, চন্দন রায়, মজিবুর রহমান জনি।
ফরোয়ার্ড– শাহরিয়ার ইমন,রাকিব, মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাব্বি হোসেন রাহুল।