ভারতীয় কিংবদন্তি টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে হুমকি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা।
২০১০ সালে ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বাল্যবন্ধু সোহরাব মির্জাকে ধোঁকা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বিয়ে করেন সানিয়া মির্জা।
গত শনিবার হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় সানিয়া-শোয়েব মালিকের দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসার জীবন।
ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাকে ছেড়ে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেন শোয়েব মালিক। তারপরই জানা যায় সানিয়ার সঙ্গে আগেই ডিভোর্স হয়েছিল শোয়েব মালিকের।
সানিয়ার ইস্যুতে বিতর্ক বাড়ালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি কড়া ভাষায় বললেন- সানিয়ার পাঁচ বছর বয়সি ছেলে ইজহান পাকিস্তানি। তাকে যেন ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া না হয়।
টুইটারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী লিখেন- ‘কোনোভাবেই সানিয়া মির্জা এবং তার সন্তানকে ভারতের নাগরিকত্ব দেব না। কারো নির্বুদ্ধিতার দায় ভারত নেবে না।’
নেটিজেনরা অবশ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর এমন টুইটকে ভালোভাবে নেননি। তারা সানিয়ার পক্ষ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধুইয়ে দেন।
সীমা হায়দারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে একজন লেখেন- ‘অন্য এক পাকিস্তানি মহিলাও চার সন্তান নিয়ে ভারতে এসেছিল। তাহলে তাকেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।’
একজন বলেন- ‘সানিয়া মির্জা ভারতের গর্ব। উনি সবসময় ভারতের নাগরিক। গোটা দুনিয়া নির্বোধদের হয়ে যাচ্ছে।’
অন্য একজন কড়া ভাষায় লেখেন- ‘সানিয়া ইতোমধ্যেই ভারতের নাগরিক। আপনি নতুন করে কী নাগরিকত্ব দেবেন? দ্বিতীয়ত, ডিভোর্স ওর ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত বিষয়ে সবার নাক না গলালেই ভালো।’
নেটিজেনদের অনেকেই আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে তার পদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে বলেন, ‘আপনি এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে রয়েছেন। আপনি সবকিছুই বিবেচনা করে নিতে পারতেন!’
একজন তো সরাসরি বলে দেন- ‘মুখ্যমন্ত্রী পদমর্যাদায় একজনের টুইটার হ্যান্ডল থেকে এরকম বিবৃতি আশা করা যায় না। মানুষের জন্য যিনি অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারেন না, করোনার সময় মানুষের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি- তিনি কোন মুখে নাগরিকত্ব ইস্যুতে কথা বলছেন।’